সবার প্রতি রইল অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। আজকে আমি পাইথনের বেসিক কিছু জিনিসপত্র নিয়ে লিখবো। আপনি যদি পাইথনে নতুন হোন আর আপনার ওএস যদি হয় জানালা তাহলে আপনি আপনার কম্পিউটারে এই লিংকে গিয়ে https://www.python.org/ পাইথন (পাইথন থ্রী) ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। তারপর আপনার পাইথনের ইন্টারপ্রেটারটি ওপেন করুন। আর আপনি যদি লিনাক্স ভিত্তিক ওএস ব্যবহারকারী হোন তাহলে আপনি আপনার কম্পিউটারের কীবোর্ডের ctrl+alt+t প্রেস করলে আপনার টার্মিনাল ওপেন হবে। আমরা সেখানে টাইপ করবো python3 এরপর শুধু এন্টার করবো। এখন সেখানে যদি আমরা লিখি print(“hello world”) এবং এন্টার করি তাহলে দেখতে পাবে hello world লেখাটি। এই print হল পাইথনের একটি বিল্ট ইন ফাংশন। এর কাজ হল আউটপুট দেখানো। এখানে আপনি চাইলেই যেকোন কিছু আউটপুট দেখাতে পারেন। যেমন print(2), print(‘hello ‘)

ভেরিএবেল মানে বা চলক। আপনি এর ভিতরে কোন কিছু এসাইন করতে পারেন। যেমন, name=”asad” এর মানে হল আমি name নামে একটি ভেরিএবেল লিখলাম এবং তাতে একটি সমান চিন্থ(এসাইনমেন্ট অপারেটর) দিয়ে “asad” যোগ করে দিলাম। এর ভেরিএবেলে আপনি স্ট্রিং, ইন্টিজার বা ফ্লোট ইত্যাদি টাইপ জিনিসত্র রাখতে পারেন। ও আচ্ছা স্ট্রিং কি? স্ট্রিং হল কোন ওয়ার্ডের সমষ্টি। যেমন আপনার নাম হল একটা স্ট্রীং কিন্তু আপনার বয়স হল একটা সংখ্যা তাহলে আপনার বয়স কিন্তু স্ট্রীং হবে না হবে ইন্টিজার। তাহলে আমরা জানলাম কোন নাম হল স্ট্রীং এবং কোন সংখ্যা হল ইন্টিজার। আর আপনি স্ট্রীংকে ডাবল কোটেশন বা সিংগেল কোটেশনের ভিতর রাখতে হয়। ইন্টিজার কে কোন কোটেশন দিতে হয় না। আবার পাইথনে যদি আপনি একটি সংখ্যা লিখেন এভাবে num=22.4 তাহলে এই num কিন্তু ইন্টিজার না। দশামিক যুক্ত সংখ্যা হল ফ্লোট টাইপ। আমরা চাইলেই চেক করতে পারি কোনটা কোন টাইপ ভেরিএবেল। যেমন name=”asad” এবার লিখি type(name) তাহলে সে রিটার্ন করবে <class str> এর মানে হল এটি string type ভেরিএবেল। আবার age=24 এবার লিখি type(name) তাহলে সে রিটার্ন করবে <class int> এর মানে হল এটি ইন্টিজার type ভেরিএবেল। name=22.3 এবার লিখি type(name) তাহলে সে রিটার্ন করবে <class float> এর মানে হল এটি float type ভেরিএবেল।

এখন আসি ভেরিএবেল লেখার বিষয়ে। আমরা শুধু স্পেশাল ক্যারেক্টার বা সংখা দিয়ে কোন ভেরিএবেল এর নাম শুরু করতে পারবো না যেমনঃ $4var, 45name কিন্তু আমরা কিন্তু এভাবে ভেরিএবেল লিখতে পারবো name, age ইত্যাদি।
আমরা পাইথনে যোগ, গুন, ভাগ, বিয়োগ করে ফেলতে পারি। আ এই +, -, *, //, /, % এগুলো হল এরিথমেটিক অপারেটর।
যেমন 2+4, 3-4, 10//2 ইত্যাদি।
+ হল এডিশন টাইপ অপারেটর। এর কাজ হল দুই পাশের অপারেন্ড যোগ করা যেমনঃ 1+4
- হল সাবট্রাকশন টাইপ অপারেটর। এর কাজ হল বিয়োগ করা। যেমনঃ ৪-৩
* এটা হল মাল্টিপ্লিকেশন টাইপ অপারেটর। এটা দিয়ে গুন করা হয়। যেমনঃ 8*2
% এটা হল মডুলাস টাইপ অপারেটর। এটা বাম পাশের অপারেন্ড কে ডান পাশের অপারেন্ড দিয়ে ভাগ করে এবং এটি ভাগশেষ বের করে। যেমনঃ 10%2=0 , কারন 0 হল এটির ভাগশেষ।
/ এটা হল ডিভিশন টাইপ অপরেটর। এটা দিয়ে ভাগ করলে দশামিকসহ সংখ্যা (ফ্লোটিং টাইপ) রিটার্ন করে। যেমনঃ 10/2=5.0
// এটা হল ফ্লোর ডিভিশন টাইপ অপারেটর। এটা দিয়ে ভাগ করলে দশামিকসহ সংখ্যা বাদ দিয়ে (ইন্টিজার টাইপ) রিটার্ন করে। যেমনঃ 10/2=5
** হল এক্সপোনেন্ট অপারেট। যেমনঃ 2**3=8 . এটি ডানপাশের সংখ্যা টি হল পাওয়ার এবং বাম পাশের সংখ্যা হল বেস।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন।

Comments
Web Robots
Tags Added in HTML5
MariaDB vs MySQL
Most in demand programming languages
Data Science Life Cycle
Features of R Programming Language
Data Science in Real Life
Most in demand NoSQL databases software